বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৩

জামায়াতের নৃশংসতা সাতক্ষীরা গেলেন ১৪ দলের নেতারা

সমকাল । সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। আজ তার স্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সেই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে মাঠে নেমেছেন।
সাতক্ষীরায় জামায়াত-শিবিরের নৃশংসতার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ মাঠে গতকাল বুধবার ১৪ দল আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরা জেলা ১৪ দলের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান এমপির সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাসদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম।
জনসভার প্রধান বক্তা শেখ ফজলুল করিম সেলিম সাতক্ষীরায় জামায়াত-শিবিরের হামলা, তাণ্ডবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-শিবিরের নৃশংস হামলায় নিহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবিএম মামুন হোসেনের শহরের কদমতলার বাড়িতে যান এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে পেঁৗছান। তারা সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ১৪ দলের স্থানীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেন এবং গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ শোনেন।
কেন্দ্রীয় নেতারা সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে পেঁৗছানোর পর সেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারী আশাশুনি উপজেলার বাউচাষ গ্রামের ভুট্টোকে দেখে ক্ষুব্ধ জনতা গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন