চট্টগ্রাম | হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘড়-মন্দিরে জামায়াত-শিবিরের হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ।
শনিবার বিকালে নগরীর লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা সংহতি প্রকাশ করেন।
শনিবার বিকালে নগরীর লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা সংহতি প্রকাশ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা’ চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ,ভাংচুর, লুটপাট, হত্যা ও নির্যাতন চালিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তারা উল্লেখ করেন যে, অতীতের বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে অনেক হিন্দু পরিবার দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে।
এসব নির্যাতনের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা বার বার হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের উপর হামলা চালায় জামায়াত-শিবির। বাঁশখালীতে তাদের হামলায় নিহত হন এক হিন্দু বৃদ্ধ।
সমাবেশে হামলার এসব তথ্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের এসব হামলা, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীদের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।’
অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ ও আইন করে কঠোর শাস্তির বিধান করতে সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
একই সাথে সব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ৭২ এর সংবিধান পুনর্বহাল, হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।
জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দেবাশিষ পালিতের সভাপতিত্বে ও কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন তালুকদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বর্তমান মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম মনজুর আলম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ মোশারফ হোসেন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ড. জোতি প্রকাশ দত্ত, ড. জিনবোধি ভিক্ষু, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার, কাজল কান্তি দে, তপন কান্তি দাশ প্রমুখ।
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বক্তব্য দিতে গেলে সমাবেশে উপস্থিত কয়েকশ’ তরুণ বিক্ষোভ দেখায় এবং তার বিরোধিতা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন