রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৩

‘‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করবো’’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
গোপালগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

‘‘অনেকে জাতির পিতার খুনিদের রক্ষা করতে চেয়েছিল। আমরা জাতির পিতার খুনিদের বিচার করেছি। রায় কার্যকর করা হয়েছে। আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল যুদ্ধাপারাধীদের বিচার করা। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। কয়েকজনের রায় ঘোষণা হয়েছে। যুদ্ধপরাধীদের বিচার করে আমরা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করবো’’।

বঙ্গবন্ধুর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০১৩ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার কমপ্লেক্স মসজিদ প্লাজায় আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শিশুদের  উদ্দেশে বলেন, ‘‘জাতির পিতা শিশুদের খুব ভালবাসতেন ও আদর করতেন। ছাত্রজীবনেও তিনি তাদের নিয়ে ভাবতেন। তিনি নিজের বই, খাতা, ছাতা ও খাবার দিয়ে শিশুদের সহায়তা করতেন। তিনি জানতেন, শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’’।

‘‘তোমরা আগামী দিনের দেশ গড়ার কাজে অংশ নেবে। তাই তোমাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শিশুদের কথা চিন্তা করে স্বাধীনতার পর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক করেছিলেন। শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করেছিলেন’’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ২৭ কোটি বই দিয়েছি। ৪২ বছর পরে হলেও আমরা ২৬ হাজার ২শ’ প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৪ হাজার শিক্ষকের চাকরি সরকারি করেছি। মাধ্যমিক পর্যায়ে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামীতে প্রাথমিক স্তরেও কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। ইতিমধ্যে ৫৭টি ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে’’।

শহরের মালেকা একাডেমির ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী অর্পিতা কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শিরিন শারমিন চৌধুরী ও বীনাপানি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী তাসমিয়া জামান শুভেচ্ছা।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শিশুদের সুন্দর হাতের লেখা, রচনা লিখন, চিত্রাংকন, গল্প বলা, আবৃত্তি, নির্ধারিত বক্তব্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ করেন। পরে তিনি দর্শক সারিতে বসে শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন’’।

দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র আয়োজিত গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করেন।

বিকেল ৩টায় তিনি টুঙ্গীপাড়া হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন