মাহমুদ আহমদ সুমন
প্রকৃত ইসলাম আর জামায়াতের ইসলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন। শুধু লম্বা জুব্বা, পাগড়ি আর দাড়ির মধ্যেই কি ইসলাম? জামায়াতে ইসলামীদের হয়তো এমনই ধারণা। হজরত রাসুল করিমের (সা.) উত্তম আদর্শের ফলে ইসলাম বিজয় লাভ করেছিল আর আজ এই জামায়াতিদের আদর্শে মানুষ ধর্মান্ধ ও জঙ্গি হয়। ইসলাম কখনো রগ কেটে, হত্যা করে, অপরের মাল লুট করে আর মারামারি করে প্রসার লাভ করেনি। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে 'লা ইকরাহা ফিদ্দীন' অর্থাৎ ধর্মে বলপ্রয়োগ নেই। ইসলামের শিক্ষা ধর্মে জবরদস্তি নেই, মুসলমান যেন অমুসলমানদের ওপরে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য বলপ্রয়োগ না করে। তাছাড়া এরূপ বলপ্রয়োগ করার প্রয়োজনীয়তাও নেই। ইসলাম সূর্যের মতো দেদীপ্যমান সত্য। আর ইসলামের শিক্ষা সব ধর্মের শিক্ষা থেকে অনেক উন্নততর। বলপূর্বক মুসলমান বানানো ইসলামী 'জিহাদে'র উদ্দেশ্যও তখন ছিল না আর সে যুগে বলপূর্বক কাউকে মুসলমান করাও হয়নি, কোন যুদ্ধ বন্দীকেও না।
প্রকৃত ইসলাম আর জামায়াতের ইসলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন। শুধু লম্বা জুব্বা, পাগড়ি আর দাড়ির মধ্যেই কি ইসলাম? জামায়াতে ইসলামীদের হয়তো এমনই ধারণা। হজরত রাসুল করিমের (সা.) উত্তম আদর্শের ফলে ইসলাম বিজয় লাভ করেছিল আর আজ এই জামায়াতিদের আদর্শে মানুষ ধর্মান্ধ ও জঙ্গি হয়। ইসলাম কখনো রগ কেটে, হত্যা করে, অপরের মাল লুট করে আর মারামারি করে প্রসার লাভ করেনি। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে 'লা ইকরাহা ফিদ্দীন' অর্থাৎ ধর্মে বলপ্রয়োগ নেই। ইসলামের শিক্ষা ধর্মে জবরদস্তি নেই, মুসলমান যেন অমুসলমানদের ওপরে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য বলপ্রয়োগ না করে। তাছাড়া এরূপ বলপ্রয়োগ করার প্রয়োজনীয়তাও নেই। ইসলাম সূর্যের মতো দেদীপ্যমান সত্য। আর ইসলামের শিক্ষা সব ধর্মের শিক্ষা থেকে অনেক উন্নততর। বলপূর্বক মুসলমান বানানো ইসলামী 'জিহাদে'র উদ্দেশ্যও তখন ছিল না আর সে যুগে বলপূর্বক কাউকে মুসলমান করাও হয়নি, কোন যুদ্ধ বন্দীকেও না।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, হিজরতের আগে মক্কাবাসী মুসলমানদের তরবারির ভয় না থাকা সত্ত্বেও মুসলমানদের উন্নত আদর্শের ফলে ইসলাম গ্রহণ করেছে। সে সময়কার ইতিহাসের আর একটি বিস্ময়কর দিক হচ্ছে, যুদ্ধ-বিগ্রহ চলাকালে যত লোক ইসলামের তবলিগ শুনেছে এবং মুসলমান হয়েছে তার চেয়ে বহু বহু গুণ বেশি লোক ইসলাম গ্রহণ করেছে শান্তির সময়ে। ইসলাম কখনও তরবারির দ্বারা প্রসার লাভ করেনি। ইসলাম প্রসার লাভ করেছে রাসুল করিমের (সা.) উত্তম আদর্শ ও ক্ষমার দৃষ্টান্তের মাধ্যমে। মুহাম্মদ (সা.) প্রকৃতপক্ষে ইসলাম বিজয় লাভ করেছিল সৃষ্টির সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ মানুষ, খাতামান্নাবিঈন হজরত মুহাম্মদ মুস্তফার (সা.) শিক্ষা অনুপম সৌন্দর্যের গুণে আর অতুলনীয় চারিত্রিক মাধুর্যের বলে। তরবারি বা অস্ত্রের বলে নয়। এমন মহান নবীর আদর্শের সঙ্গে রগকাটা দলের তুলনা শুনতে বড়ই কষ্ট হয়।
জামায়াতে ইসলামী আজ ধর্মের নাম নিয়ে করছে অধর্ম আর দোহাই দিচ্ছে ধর্মের। ধর্মের কথা বলে সহজ-সরল লোকদের করছে বিপথগামী। কোন ধর্মেই নৈরাজ্যের শিক্ষা দেয় না। আর ইসলাম শান্তির ধর্ম। বাংলাদেশ থেকে সব প্রকার জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হলে প্রথমে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ধর্মের নামে যে রাজনীতি করা হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। যদি ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ হয় তাহলেই সম্ভব বাংলাদেশ থেকে সব প্রকার জঙ্গিবাদ নির্মূল করা। বাংলাদেশে ধর্মের নামে রাজনীতির প্রধান হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী আর এরা নিজেদের যতই একটি পৃথক রাজনৈতিক দল বলুক প্রকৃতপক্ষে তারা মাওলানা মওদুদীর রাজনৈতিক দর্শনেই বিশ্বাসী। এছাড়াও বাংলাদেশে আরও কয়েক ডজন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল রয়েছে এবং এরা সবাই জামায়াতে ইসলামেরই সৃষ্ট। সময় বুঝে নাম পরিবর্তন করে।
এ কথা জামায়াতের এদেশীয় নেতা গোলাম আযম ও প্রয়াত আব্বাস আলী খান সাহেবের বক্তব্য থেকেও জানা যায়। ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের ছাত্র ফ্রন্টের মুখপত্র মাসিক 'হাম কাদাম' পত্রিকায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক আমির গোলাম আযমের একটি সাক্ষাৎকার সংক্ষিপ্ত আকারে ছাপা হয়। এতে গোলাম আযম নিজের মুখে বলেছেন : 'বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীও' মাওলানা মওদুদীর রাজনৈতিক দর্শন (চড়ষরঃরপধষ ঃযড়ঁমযঃং) অবলম্বন করেছে।' [মাসিক হাম কাদাম, লাহোর, অক্টোবর ২০০৮ সংখ্যা, পৃ-৮]
প্রয়াত আব্বাস আলী খান তার রচিত পুস্তক 'জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস' বইতে লিখেছেন : 'বর্তমান কালে এ উপমহাদেশের ছ'টি রাষ্ট্রে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, জম্মু ও কাশ্মীর এবং আজাদ কাশ্মীরে 'জামায়াতে ইসলামী' ইসলামী আন্দোলন করে যাচ্ছে' (গ্রন্থকারের কথা)। আবার ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত ঔঁংঃরপব গঁহরৎ ও ঔঁংঃরপব কধুধহর-র সমন্বয়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন রিপোর্টেও উল্লেখ করা আছে, জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমস্ত বিশ্বে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা (পৃষ্ঠা : ২৪৩)। অতএব এখানে কোন দেশের 'জামায়াতে ইসলামী'কে পৃথক করে দেখার অবকাশ নেই। এরা সবাই মওদুদীবাদের অনুসারী। আর মওদুদীর শিক্ষা ও দর্শন যে সন্ত্রাসী ও যুদ্ধংদেহী মনোবৃত্তির ধারক ও বাহক এ কথা পরবর্তী কয়েকটি উদ্ধৃতির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হবে।
জামায়াতে ইসলামী একটি কপট দলের নাম। এরা ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনীতি করলেও এদের মাঝে ইসলামের সার বা মূল শিক্ষা নেই। পবিত্র ইসলাম ধর্মের শিক্ষা হলো : 'তোমরা প্রতিমাপূজার অপবিত্রতা পরিহার কর আর তোমরা মিথ্যা বলাও পরিহার কর (সূরা হজ্জ, আয়াত নম্বর-৩০)। কিন্তু এ বিষয়ে জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা গুরু মাওলানা মওদুদীর বক্তব্য হচ্ছে : 'বাস্তব জীবনে এমন কিছু চাহিদা রয়েছে যেগুলোর খাতিরে মিথ্যা বলা কেবল জায়েযই নয় বরং ওয়াজেব' (মাসিক তরজুমানুল কোরআন, ৫০তম খ-, ২য় সংখ্যা, শাবান ১৩৭৭ হি. পৃষ্ঠা নম্বর : ১১৮) এরপর তিনি তার বক্তব্যের সমর্থনে পবিত্র হাদিসের মনগড়া এবং বিকৃত অর্থ করতেও দ্বিধা করেননি। যে রাজনৈতিক দল ইসলামের মতো সত্য ও সুন্দর ধর্মের নামে মিথ্যাচারের শিক্ষা দেয় তার কাছে নৈতিকতা ও সততার কিইবা আশা করা যায়?
জামায়াতে ইসলামী ধর্মের নামে বলপ্রয়োগ ও অস্ত্রপ্রয়োগে বিশ্বাসী। এরা মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করায় বিশ্বাসী। মওদুদীর স্পষ্ট বক্তব্য হলো : মহানবী (দ.) তের (১৩) বছর পর্যন্ত আরবের লোকদের মধ্যে ইসলামের মৌখিক ওয়াজ ও দাওয়াতের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর, শেষে যখন অস্ত্র ধারণ করেছিলেন তখন মানুষের মন আপনা-আপনি সত্য গ্রহণের জন্য বিগলিত ও ইসলামে শামিল হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল।
(দেখুন : আল জিহাদ ফিল ইসলাম, ১৭ দশ মুদ্রণ-২০০২ ইং , পৃ: ১৭৩, ১৭৪)
অর্থাৎ একদিকে তিনি হযরত মুহাম্মদকে (দ.) ব্যর্থ হওয়ার অপবাদ দিচ্ছেন, অন্যদিকে তিনি ইসলামের পবিত্র নবীর প্রতি অস্ত্রবলে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের কলঙ্ক লেপন করছেন। অথচ তিনি একই পুস্তকের পূর্ববর্তী পৃষ্ঠাগুলোতে নিজেই বিবেক ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা নিশ্চিতকারী ১৪/১৫ টি কোরআনী আয়াত উল্লেখ করেছেন! তিনি কোরআন প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্বন্ধে ভালোভাবে জানতেন তা সত্ত্বেও তিনি ইসলামের নবীর প্রতি বলপ্রয়োগের ঘৃণিত অপবাদ উত্থাপন করেছেন। পরবর্তী দুই পৃষ্ঠাতেও তিনি একই কথা এভাবে উল্লেখ করেছেন :
'মাত্র এক শতাব্দীর মধ্যে আরবের মতো অন্যান্য দেশ এবং বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ মানুষ কেবল এ জন্যই এত শীঘ্র ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়েছিল কেননা, ইসলামের তরবারি তাদের মনের সব অন্ধকার আবরণ ছিন্নভিন্ন করে, সেই কলুষিত পরিবেশকে একেবারে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছিল যে পরিবেশে কোন উত্তম চারিত্রিক শিক্ষা বিকাশ লাভ করতে পারে না। ইসলাম ধর্ম এমন সব রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও সরকারের মূলোৎপাটন করেছিল যারা ছিল সত্যের শত্রু আর মিথ্যার পৃষ্ঠপোষক।'
তিনি আরও বলেছেন, 'ইসলাম ধর্ম কেবল অস্ত্র বলপ্রয়োগ করে মানুষকে মুসলমান বানায় এ কথা বলা যেমন ভুল, ঠিক তেমনি ইসলামের প্রচার ও প্রসারে অস্ত্রের কোন ভূমিকাই নেই_ এ কথা বলাও সঠিক নয়। প্রকৃত সত্য এই দুয়ের মাঝামাঝি অবস্থিত। আর তা হলো, অন্য সব সত্যতার ক্ষেত্রে যা ঘটেছে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ঠিক একইভাবে মৌখিক তবলিগ ও অস্ত্রের প্রয়োগ উভয়েরই ভূমিকা ছিল। তবলিগ বীজ বপনের কাজ করে আর তরবারি নিড়ানী দেয়। প্রথমে তরবারি মাটি নরম করে যেন এতে বীজ উদ্গমের পরিবেশ সৃষ্টি হয়, এরপর তবলিগের মাধ্যমে বীজ বপন ও সেচ পরিচর্যার কাজ সম্পন্ন করা হয়।' (আল জিহাদ ফিল ইসলাম : পৃ: ১৭৪-১৭৫)। যে রাজনৈতিক দল নিজেদের ক্ষমতা লাভের নেশায় মত্ত হয়ে ইসলামের পবিত্র নবীর জীবনী ও তার পবিত্র শিক্ষাকে বিকৃত করার ধৃষ্টতা দেখায় জনগণ এদেশে তাদের এই গর্হিত কার্যকলাপ দেখতে চায় না।
জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের নাম রেখেছে জিহাদ। আর এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এ দলটি বলপ্রয়োগ করার শিক্ষা দেয়। হাকিকাতে জিহাদ' পুস্তিকায় মওদুদী এ কথা বার বার লিখেছেন। এই পুস্তিকার একস্থলে তিনি বলেছেন : 'যে ব্যক্তি সত্যিই খোদার পৃথিবী থেকে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা দূর করতে চায়, যে ব্যক্তি মানবজাতির সংশোধন চায়, তার পক্ষে কেবল মৌখিক উপদেশদাতা ও শুধু বাহ্যিক শুভাকাঙ্ক্ষীর ভূমিকা পালন করা অর্থহীন। তার রুখে দাঁড়ানো উচিত এবং ভুল নীতির রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আর দুষ্কর্মকারীদের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সঠিক নীতি ও পদ্ধতির রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা উচিত।' (মওদুদী রচিত 'হাকিকাতে জেহাদ' পুস্তিকা, পৃষ্ঠা- ১১)। তিনি আবার বলেছেন : 'যে দেশেই তোমরা সরকারি ক্ষমতা লাভ কর, সেখানেই মানুষের সংশোধন কল্পে সোচ্চার হও, ভুল রাষ্ট্রনীতিসমূহকে শুদ্ধ করতে চেষ্টা কর। খোদা-ভীতিশূন্য আর লাগামহীন মানুষদের হাত থেকে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ও আনুগত্য লাভের অবস্থান কেড়ে নাও।' (মওদুদী রচিত 'হাকিকাতে জেহাদ' পুস্তিকা, পৃষ্ঠা- ১৫)।
এক পর্যায়ে একই পুস্তিকার আরেক স্থলে মওদুদী তার নিজ দলের পরিচয় নিজেই এভাবে তুলে ধরেছেন: 'এটা ধর্ম প্রচারকারী উপদেষ্টা বা সুসংবাদদাতাদের জামায়াত নয় বরং এটি হচ্ছে খোদার সেনাদল... তাই এই পার্টির জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা ছাড়া কোন গত্যন্তর নাই' [প্রাগুক্ত পৃ:৫৫]
অথচ পবিত্র ইসলাম ধর্মের নামে কোন ধরনের উৎপীড়ন ও বলপ্রয়োগের অনুমতি দেয় না। পবিত্র কোরআনের অমোঘ ঘোষণা হচ্ছে 'লা ইকরাহা ফিদ্দীন' (সুরা বাকারাহ : ২৫৬ আয়াত) অর্থাৎ ধর্মে কোন ধরনের বলপ্রয়োগ নেই। আরও বলা হয়েছে 'লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন' (সুরা কাফেরুন)। অর্থাৎ তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম, আমার জন্য আমার ধর্ম। তাই ইসলামের নামে এই ফ্যাসিস্ট দর্শনের ধারক ও বাহকদের এদেশের পবিত্র মাটিতে তাদের অন্যায় কর্মকা- পরিচালনার অনুমতি দেয়া যায় না।
আমরা চাই বর্তমান সরকার অতি দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করুক এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করুক। এ দাবি আজ প্রত্যেকটি সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের দাবি। ধর্মের দোহাই দিয়ে অধর্ম যাদের পেশা তারা যেন এ দেশে আর কখনো ধর্মের কথা না বলতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন