মতিয়ার চৌধুরী (এনএনবি) লন্ডন
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত,
জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ, জাতীয় পতাকা ও শহীদ মিনারের অবমাননা,
মসজিদ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও যুক্তরাজ্য
থেকে স্বাধীনতা রিরুধীদের দেশবিরুধী প্রচারণার প্রতিবাদে লন্ডনে সংবাদ
সম্মেলন করেছে সাপোর্ট বাংলাদেশ। ১৮মার্চ রাতে পূর্বলন্ডনের বাংলা টাউনের
কুটুমবাড়ী রেষ্ট‚রেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মিসবাউর রহমান মিসবার
পরিচালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মসুদ আহমদ। সাংবাদিক সম্মেলনে সাপোর্ট
বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষনার পর জামাত
শিবিরের তান্ডব লীলা আমাদের একাত্তরের কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, ঘাতকরা
পবিত্র মসজিদ, জাতীয় পতাকা ও শহীদ নিারের অবমাননা করে চলছে, দেশের ধর্মীয়
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর চালাচ্ছে নির্যাতন যা কোন অংশেই
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের চেয়ে কম নয়।
বরাবরের মত ধর্মের অপব্যাবহার করে
মানুষের ধর্মীয় অনুভুতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। চিহ্নিত ধর্মব্যাবসায়ীদের
প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের যে জাগরণ শুরু হয়েছে তাদের সাথে একাত্মতা পোষন
করেন সাপোর্ট বাংলাদেশ নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে জামাত শিবির কর্তৃক
বৃটেনের বাঙ্গালী শিশুদের ব্রেইনওয়াশের অভিযোগ করে বলা হয় বিলেতে
অভিবাবকরা ধর্মীয় মৌলিক শিক্ষা কোরআন হাদিস শিখতে বাচ্চাদের মসজিদ
মাদ্রসায় পাঠান, কোমলমতি শিশুদের ধর্মের কথা বলে জামাতের মিছিল-মিটিংয়ে
নেয়া হচ্ছে। জামাতীদের দ্বারা পরিচালিত বৃটেনে গড়ে উঠা শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিরুপ ধারনা দেয়া হয় শিশুদের। কোন কোন
মসজিদে ঈমামরা বাচ্চাদের বাঙ্গালী হিসেবে পরিচয় দিতে বারন করেন। এব্যাপারে
অভিবাবকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হয় । সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়
মূলতঃ তিনটি দাবী নিয়ে বৃটেনে কাজ করছে সাপোর্ট বাংলাদেশ। যুদ্ধাপরাধীদের
বিচার তরান্বিত করা ও বিচারের রায় দ্রæত কার্যকর করা, জামাত শিবির সহ
রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যাবহার নিষিদ্ধ, সমাজের সর্বস্থরের মুক্তিযুদ্ধের
চেতনা বাস্তবায়ন। সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ইব্রাহীম আলী,
হুমায়ুন আহদেম চৌধুরী, কবীর উদ্দিন, নাছির আহমদ শ্যামল, সৈয়দ এলাহি হক
সেলু, ফরহাদ আহমেদ, নূরুল ইসলাম কিছলু প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন