জনকণ্ঠ, নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ২২ মার্চ ॥ আওয়ামী লীগ করার অপরাধে
জামায়াত-বিএনপির ফতোয়াবাজরা জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ভারাহুত গ্রামে ১৬ জনকে
মসজিদে নিয়ে গিয়ে তওবা পড়িয়ে মুসলমান বানায়- এই ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যায় ৭ জনকে গ্রেফতার করে। তওবা পড়িয়ে মুসলমান করার ঘটনায় জেলাজুড়ে
হৈচৈ শুরু হলে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে
সত্যতা খুঁজে পায়। পরে পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের হলে জামায়াত-বিএনপির ঐ
ফতোয়াবাজরা গাঢাকা দেয়।
এরপর ঐ ফতোয়াবাজরা ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত
করার চেষ্টা করে। এদিকে জনকণ্ঠসহ কয়েকটি পত্রিকায় ফতোয়াবাজদের এই তওবা
পড়ানোর ঘটনা প্রকাশিত হলে হাইকোর্ট ঐ অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য জেলা পুলিশ
প্রসাশনকে নির্দেশ দেয়। পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জেলার পাঁচবিবি উপজেলার
ভারাহুত গ্রামের ৭ জনকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ভারাহুত গ্রামের আব্দুল খালেক (৪৩), আব্দুর রহিম (৫২), আশরাফ আলী (৪২), আব্দুল মালেক মাস্টার (৩৫), ময়েজ উদ্দীন (২৮), আব্দুল কুদ্দুস (৩৫) এবং ইনতাজ আলী (৪৫)। এদিকে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পাঁচবিবি থানার ওসি (তদন্ত) নূর হোসেন জানান, মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জনের মধ্যে বৃহস্পতিবার জেলার ক্ষেতলাল উপজেলা পাঠানপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি এলাকায় জামায়াত-শিবির-বিএনপি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ চালায়। এই সহিংসতার পথ ধরেই ৩ ও ৪ মার্চ পাঁচবিবির ভারাহুত গ্রামে জামায়াত-শিবির-বিএনপির ফতোয়াবাজরা আওয়ামী লীগ করে এমন মুসলমানদের ধরে এনে ভয়ভীতি দেখিয়ে মসজিদে তওবা পড়ায়। তারা আওয়ামী লীগ করে ভুল করেছে, এখন থেকে আর আওয়ামী লীগ করবে না এমন ওয়াদা করিয়ে নেয়। বৃহস্পতিবার ৭জন গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে এ মামলায় মোট গ্রেফতার হলো ১১জন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন