রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৩

আলোকের এই ঝর্ণাধারা...

ঢাকা: আলোকের এই ঝর্ণাধারা শিরোনামে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিলো গণজাগরণ মঞ্চ।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় গণজাগরণ মঞ্চকে ঘিরে সমবেত জনতা এক সঙ্গে মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ সহ যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

সমবেত জনতা তখন গেয়ে ওঠেন ‘আগুনের পরশমণি’ গানটি।


উপস্থিত হাজারও জনতা এ সময় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এদেশের মাটি থেকে অপশক্তির বিতাড়ন এবং তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান।

মঞ্চে এসময় উপস্থিত ছিলেন ইমরান এইচ সরকার সহ গণজাগরণ মঞ্চের অন্যান্য সংগঠকরা।

মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনকে সামনে রেখে গণজাগরণ মঞ্চের জমায়েত টিএসসি থেকে রুপসী বাংলার মোড় এবং শিশুপার্ক থেকে কাঁটাবনের মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে এসময় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।

কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩০ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত সারাদেশব্যাপী প্রচার ও গণসংযোগ।

২৭ এপ্রিল ঢাকায় গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা।

২৯ এপ্রিল বেলা ১১টায় জায়ামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সামনে গণঅবস্থান।

১ মে শ্রমিক দিবসে শাহবাগে শ্রমিক মহাসমাবেশ।
৪মে বিকেল ৪টায় সংসদ অধিবেশন চলাকালীন সময় সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধন।

এ সময় দেওয়া বক্তব্যে ইমরান এইচ সরকার বলেন, “বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য ২০০১ সালের রমনা বটমূলে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল।

আমরা দীর্ঘদিন থেকে জামায়াত-শিবির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকার তা না করে উল্টো মত প্রকাশের দায়ে ব্লগারদের গ্রেফতার করেছে।”

ফটিকছড়িতে হরতাল বিরোধী মিছিলে জামায়াত-শিবিরের হামলায় হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ইমরান বলেন, তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধে সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিলে এ রকম ঘটনা ঘটত না।

এ সময় তিনি জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ সহ অবিলম্বে ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন