বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৩

হেফাজতে ইসলামের প্রতি ১০১ আলেম, লংমার্চ প্রত্যাহার করুন

ঢাকা: রাজধানীর উদ্দেশে হেফাজতে ইসলামের ডাকা ৬ এপ্রিলের লংমার্চ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১০১ জন বিশিষ্ট আলেম।

মঙ্গলবার বিকেলে সচেতন হক্কানী আলেম সমাজের আহ্বায়ক আলহাজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম মিঞার সই করা বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা গভীর দুঃখের সাথে পর্যবেক্ষণ করছি যে, একদল স্বার্থান্বেষী লোক পবিত্র ধর্ম মহান ইসলামের নাম ভাঙিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রকারী চক্রান্তের জাতাকলে দেশ, জাতি ও জনগণ নিষ্পেষিত। বিরোধীদলের কাঁধে ভর করে এসব স্বার্থান্ধ চিহ্নিত অপশক্তি দেশবিরোধী চক্র গণতান্ত্রিক কর্মসূচীর নামে তাদের আসল চেহারা তুলে ধরেছে। এমনকি দেশের বরেণ্য ওলামা মাশায়েখদের ভুল বুঝিয়ে অথবা প্রলোভনের জালে ফেলে ইসলাম হেফাজতের নামে মাঠে নামিয়েছে। ওলামা মাশায়েখদের শান্তিপূর্ণ লং মার্চ কর্মসূচীকে ঘিরে এই অপশক্তি চক্রান্ত করছে যে মওদুদী মতবাদবিরোধী এসকল বরেণ্য হক্কানী আলেমদের হত্যাসহ ব্যাপক নাশকতা চালাবে। ইতিমধ্যে হেফাজতে ইসলামের ভেতর জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে দেশের সচেতন হক্কানী আলেম সমাজ উদ্বেগ প্রকাশ করছে।”

বিবৃতিতে বলা হয়, “তাই আমরা ওলামা মাশায়েখদের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা রেখে এবং ইসলাম রক্ষার গুরুত্ব অন্তরে পোষণ করে আহ্বান করছি, চিহ্নিত এই অপশক্তি যেন তাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করতে না পারে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকার ইতিমধ্যে নাস্তিক ব্লগারদের তালিকা চূড়ান্ত করে গ্রেফতার আরম্ভ করেছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী নাস্তিকদের বিচারের সম্মুখীন করতে আইন সংশোধন করেছে। এজন্য আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। আমরা আরও লক্ষ্য করেছি যে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে অনেক নাস্তিক ব্লগার গা ঢাকা দিয়েছে।”

“হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দের প্রতি আমাদের আহ্বান, তারা যেন তাদের লংমার্চ কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেন। আমরা জানি, হেফাজতে ইসলামের সভাপতি শ্রদ্ধাভাজন মুরব্বী বর্ষীয়ান আলেম আল্লামা আহমদ শফী এবং লংমার্চের অন্যতম সঞ্চালক মুফতী ইজহার ও আল্লামা জুনায়েদ বাবু নগরি, ঢাকার আহ্বায়ক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীসহ বরেণ্য আলেমরা ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছেন এবং সুপরামর্শ দিয়েছেন। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ ও জনগণের কথা বিবেচনা করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু সামাধান করাই যৌক্তিক।”

বিবৃতিতে স্বাক্ষর কারীদের মধ্যে রয়েছেন:

আলহাজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম মিঞা (মুস্তাকীম হুজুর), মুফতী মুহাম্মদ শহীদউল্লাহ, শাইফুল হাদীস মাওলানা  সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান, হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, আলহাজ মাওলানা মাজহারুল ইসলাম , খতিব আম্বরশাহ শাহী জামে মসজিদ, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা আব্দুস সামাদ, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা আবু সুফিয়ান, সৈয়দ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, মুফতি ওবায়দুর রহমান, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা আতাউর রহমান, আলহাজ্ব মাওরানা আব্দুল জব্বার, মুফতি রেজাউল হক আব্দুল্লাহ, মাওলানা আব্দুস সুবহান, মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ ওজিউল্লাহ, মাওলানা আব্দুল কবির খান, মাওলানা মশিউর রহমান, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা জাকারিয়া, মুফতি আবুল হাসান, মাওলানা আব্দুল গফুর দিনাজপুরী, মুফতি ফারুক আহম্মেদ, মুফতি আব্দুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল গফুর, মুফতি ওয়াজেদ আলী, মাওলানা আব্দুল খায়ের, মুফতি বেলাল উদ্দিন শরীয়তপুরী, মাওলানা মাসুদ আহম্মেদ, মাওলানা আব্দুস শুকুর আহম্মেদ, মাওলানা তাওহীদ আহম্মেদ, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা রুহুর আমিন, মাওলানা আলামিন, মাওলানা শাকিল আহম্মেদ, মাওলানা শরীফুল ইসলাম, মাওলানা খসরু মিঞা, মাওলানা মোজাম্মেল হক, মাওলানা আব্দুল আজিজ,মাওলানা আব্দুল বারেক, মাওলানা এনায়েত হোসেন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন  সহ ১০১ জন বিশিষ্ট আলেম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন