শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৩

অবরোধ সফল করতে সদরঘাটে থাকবে রুমি স্কোয়াড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের ঢাকামুখী লংমার্চকে প্রতিরোধের উদ্দেশে গণজাগরণ মঞ্চের টানা ২২ ঘণ্টা দেশব্যাপী সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধের আহ্বানে একাত্মতা প্রকাশ করছে শহীদ রুমী স্কোয়াড।

গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসময়ে সম্মিলিতভাবে সদরঘাটে অবস্থান করবেন তারা।

স্কোয়াডের মুখপাত্র সেঁজুতি শোণিমা নদী এক বার্তায় জানান, ব্লগারদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও হেফাজতে ইসলামের ঢাকামুখী লংমার্চকে প্রতিরোধের উদ্দেশে গণজাগরণ মঞ্চ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে টানা ২২ ঘণ্টা সারাদেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে।
এছাড়াও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৬ তারিখ বিকেলে মহাসমাবেশ সফল করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

নদী জানান, শহীদ রুমী স্কোয়াড গণজাগরণ মঞ্চের এই কর্মসূচির সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। বরাবরের মতোই এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্কোয়াডের সদস্যদের ভূমিকা থাকবে সক্রিয়ভাবেই। গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অবরোধের সময়ে সম্মিলিতভাবে সদরঘাটে অবস্থান করবেন তারা। নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়েই এতে সব রকমের সহযোগিতা দেওয়া হবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১০টা থেকে আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছিলেন শহীদ রুমী স্কোয়াডের সাত তরুণ। গণজাগরণ মঞ্চের ২১ ফেব্রুয়ারির মহাসমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার আইনি প্রক্রিয়া শুরুর ব্যাপারে ২৬ মার্চ পর্যন্ত যে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল, সরকার সেটি না মানায়, তারা এই অনশন শুরু করেন। তাদের এই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বস্তরের মানুষ এই কর্মসূচিতে বিভিন্নভাবে সংহতি প্রকাশ করেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ২৬ জন আমরণ অনশনকারী শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের মূল ফটকের সামনে ১ এপ্রিল পর্যন্ত টানা অবস্থান করেন।

১ এপ্রিল রাতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীর উত্তম অনশনস্থলে আসেন।

সেখানে তিনি নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে শহীদ রুমী স্কোয়াডের এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানান।

তিনি আরও জানান, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘সরকার যদি জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ না করে, তাহলে আমি আমার অবস্থান ত্যাগ করে তোমাদের পোশাক পড়ে তোমাদের সঙ্গে অনশনে নেমে যাবো।’’

সবশেষে তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে শহীদ রুমী স্কোয়াডকে অনশন থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন