এনা, নিউইয়র্ক থেকে ॥ যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিত রাজাকার সাঈদীর রায়ের পর
সারাদেশে বিএনপি-জামাতের সহিংস তা-বের উস্কানিদাতা হিসেবে যুদ্ধাপরাধ
ট্রাইব্যুনালে খালেদা জিয়ার বিচারের দাবি জানিয়েছে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী
লীগ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মেট্রো ওয়াশিংটন
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সারা জাতি যখন
একাত্ম হয়েছে ঠিক তখনই বেগম খালেদা জিয়া ’৭১-এর ন্যায় তাঁর প্রিয়
পাকিস্তানীদের ইশারায় আবারও দেশবিরোধী শক্তি জামায়াত-শিবিরের পক্ষ নিয়ে
সারাদেশে একের পর এক সহিংস ঘটনা জ্বালাও-পোড়াও-হত্যাসহ সংখ্যালঘুদের ওপর
নারকীয় অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একাত্তরের পাকিস্তানীদের সঙ্গে তাঁর স্মৃতির কথা ভুলতে পারছেন না। তাই আবারও তিনি একাত্তরের মতো একাত্তরের দেশবিরোধীর শক্তির কা-ারি হয়ে সারাদেশে সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে একের পর এক হরতাল দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে বেগম খালেদা জিয়া একের পর এক রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকা-ে লিপ্ত হয়ে আছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বেগম জিয়া হয়ত ভাবছেন তিনি আইনের উর্ধে এবং বাংলাদেশের কোন আইন তাঁকে স্পর্শ করতে পারবে না। অবিলম্বে বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচার করা এখন অত্যাবশকীয় হয়ে পড়েছে। নেতারা বলেন, বেগম জিয়া ভুলে গেছেন বাঙালীকে দাবায়ে রাখা যায় না। একাত্তর সালে ধর্মের দোহাই, পাকিস্তানীদের বন্দুক/কামানের গোলা-গুলি বাঙালীকে দাবায়ে রাখতে পারেনি। এবারও পারবে না এবং কখনই বাঙালীকে ধর্মের দোহাই দিয়ে, নারকীয় হত্যাকা- ঘটিয়ে দাবায়ে রাখতে পারবে না। নতুন প্রজন্ম জেগে উঠেছে। হয়ত সেইদিন আর বেশি দেরি নেই যেইদিন আজকের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো একই অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিচার হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ সভাপতি বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. শাহজাহান মাহমুদ, সহসভাপতি আক্তার হোসাইন, সহসভাপতি এম এম করিম আহমেদ, সহসভাপতি জীবক বডুয়া, সহসভাপতি আবুল হোসেন শীকদার, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান, সহসভাপতি সাদেক খান, সহসভাপতি নুরুল আমীন নুরু, সাধারণ সম্পাদক এম নবী বাকী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শেরিনা চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নাজনিন আক্তার, সাইন্স এ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ক সম্পাদক সাঈদা আবেদীন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফাহমিদা হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক হারুন রশীদ, দফতর বিষয়ক দস্তগীর জাহাঙ্গীর ও কমিউনিটি এ্যাফেয়ার বিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন