রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৩

‘তালেবান-জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছে, ফের সক্রিয় স্বাধীনতা বিরোধীরা‘

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: পাকিস্তান-আফগানিস্তান থেকে তালেবান ও জঙ্গীরা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে বলে দাবি করেছেন ইসলামী ফ্রেন্টের মহাসচিব এমএ মতিন।
তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম নেতাদের নেতৃত্বে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী মুজাহিদ বাহিনী এবং ঢুকে পড়া জঙ্গীবাদীরা দেশে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে।’
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে রোববার সকালে অনুষ্ঠিত সুন্নী ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে এ দাবি করেন।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশ দেশের শীর্ষ সুন্নী আলেমদের হত্যা চক্রান্তের প্রতিবাদে এবং দেশের বিদ্যামান পরিস্থিতিতে সুন্নী ওলামা-মাশায়েখদের করণীয় নিয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ে সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের তান্ডবকে ইঙ্গিত করে সম্মেলনে নেতারা বলেন, ‘জাতীয় সম্পদ ধ্বংস, মানুষ খুন, গরিব চালকের সিএনজি অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়া ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না। হামলা করে ভিন্নধর্মীদের ঘর-বাড়ি-উপসনালয় জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ইসলামে ‍হারাম।‘
‘এসব ঘটনা আইয়ামে জাহেলিয়াতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তারা ইসলামকে কুফুরি বলছে আর কুফুরিকে বলছে ইসলাম। পবিত্র ইসলামের শত্রু এ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কেয়ামত পর্যন্ত আন্দোলন লড়াই চলবে।’
সম্মেলনে বক্তারা বলেন,‘১৯৭১ সালে যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী এবং নিরীহ স্বাধীনতাকামী জনতার ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তারা ইসলামী দল হতে পারে না। তারা ইসলামের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্ত মতবাদ প্রচারে লিপ্ত রয়েছে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা ও দল অভিযুক্ত হয়ে বিচারের মুখোমুখি হয়েছে এবং তাদের পতন প্রায় নিশ্চিত হওয়াতে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে দলটির সশস্ত্র ক্যাডাররা নিরীহ সুন্নি ওলামা-মাশায়েখদের হত্যার চক্রান্ত শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
‘জামায়াত-শিবির শীর্ষ সুন্নী আলেমদের হত্যা করে মওদুদী ফিতনা প্রচারের পথ নিষ্কন্টক করতে চায়। কিন্তু দেশের সুন্নী মুসলমান সমবেতভাবে তাদের প্রতিহত করবে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের প্রতি সর্বস্তরের সুন্নী ওলামা-মাশায়েখদের সমর্থন রয়েছে বলে জানান বক্তারা। তবে তারা  বিভিন্ন ব্লগে ধর্ম অবমাননার বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট আলেম কাজী নুরুল ইসলাম হাশেমীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাইফুর রহমান নেজামী, সংগঠনের মহাসচিব সৈয়দ মুহাম্মদ মুছিহুদদৌলা, প্রবীণ আলেমেদ্বীন মুফতি ইদ্রিস রেজভী, আজিজুল হক আলকাদেরী, সৈয়দ নুরুল মনোওয়ার, শামসুদ্দোহা বারী, মাওলানা এম এ মান্নান, মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান, মাওলানা এম এ মতিন, আবুল কাশেম নুরী, মুফতি ‍আবদুল ওয়াজেদ প্রমুখ।
সম্মেলনে বক্তারা আগামী এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা দেশের বতর্মান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীকে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহবান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন