শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৩

পেকুয়া-কুতুবদিয়ার সেই দুই ওসি বদলি

সমকাল । পেকুয়া-কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রতিক সহিংসতায় বিতর্কিত ভূমিকা রাখায় কক্সবাজারের পেকুয়া ও কুতুবদিয়া থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার রাতে পুলিশের অপরাধ বিভাগে তাদের বদলি করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রত্যন্ত এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা আনন্দ-উল্লাস এবং মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
বদলির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার বাবুল আকতার। তিনি বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. আবুল হাসেম ও পেকুয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেনকে বদলি করা হয়।
গতকাল বিকেল পর্যন্ত এই দুই থানায় নতুন ওসি যোগ দেননি।

সমকালের শেষ পৃষ্ঠায় 'কুতুবদিয়ায় জামায়াতের নাশকতার পরিকল্পনা' শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হলে সরকারের উচ্চপর্যায়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সংবাদের সূত্র ধরে ওই দিনই বিকেলে কুতুবদিয়ার জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, পুলিশ সুপার মো. আজাদ মিয়া, র‌্যাব-৭ এর কক্সবাজার জোনের কমান্ডার মেজর সারওয়ার-ই-আলম, সহকারী পুলিশ সুপার মো. খালেকুজ্জামান, কুতুবদিয়ার ইউএনও মো. জাফর আলমসহ সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের আরও কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা। তারা কুতুবদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে স্থানীয় বাসিন্দা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর কুতুবদিয়ায় জামায়াত-শিবিরের ১০-১৫ হাজার নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে প্রকাশ্যে থানা ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি দফতরে নারকীয় তাণ্ডব চালায়। ওসি আবুল হাসেম তখন নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। হামলায় জড়িত জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে ম্যানেজ হওয়ায় দ্বীপে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। ওই দিন পেকুয়ার বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার সংঘবদ্ধ লাঠিয়াল বাহিনী তাণ্ডব চালায়। এ ঘটনায়ও ওসির ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন