সমকাল | ওয়াকিল আহমেদ হিরন
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম ও মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচারের রায় আগামী মাসে ঘোষণা হতে পারে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে এ দুটি মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের মামলায় আসামিপক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার শেষ হলে নিয়ম অনুযায়ী রায় ঘোষণার দিন ধার্য করবেন ট্রাইব্যুনাল-১। অন্যদিকে, জামায়াতের অপর নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে। চলতি সপ্তাহ থেকে মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হবে। উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করতে পারেন ট্রাইব্যুনাল-২।
এ দু'জনের বিচার যথাসময়ে শেষ হলে ট্রাইব্যুনালে মোট ৫ অভিযুক্তের বিচার শেষ হবে। এদিকে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে দেশজুড়ে সহিংসতা ও নাশকতা চালাচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। কোনো ষড়যন্ত্রই এ বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম ও মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচারের রায় আগামী মাসে ঘোষণা হতে পারে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে এ দুটি মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের মামলায় আসামিপক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার শেষ হলে নিয়ম অনুযায়ী রায় ঘোষণার দিন ধার্য করবেন ট্রাইব্যুনাল-১। অন্যদিকে, জামায়াতের অপর নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে। চলতি সপ্তাহ থেকে মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হবে। উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করতে পারেন ট্রাইব্যুনাল-২।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে তিন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আবদুল কাদের মোল্লা ও আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়। চলতি মাসে কোনো বিচারের রায় না থাকায় আগামী মাসে আরও দুটির রায়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। এদিকে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আবদুল আলীমের বিচার প্রক্রিয়া চলমান। আগামী জুন-জুলাইয়ের মধ্যে এ চারজনের রায় আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।
জানতে চাইলে সিনিয়র প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত সমকালকে বলেন, চলতি মাসের মধ্যে গোলাম আযম ও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কামারুজ্জামানের বিচার শেষ হলে মাসের শেষদিকে দুটি রায় ঘোষণা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা আশা করছি, যথাসময়ে বিচারটা শেষ হবে। তারা জানিয়েছেন, আগামী জুন-জুলাই মাসে আরও কয়েকটি রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিচারের প্রথম পর্বের সমাপ্তি হবে। এসব যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, লুট, অগি্নসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের বিচারের দ্বিতীয় পর্বে রয়েছেন মীর কাসেম আলী, এটিএম আজহারুল ইসলাম ও আবদুস সুবহান। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থা থেকে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান সমকালকে বলেন, বেশ কিছু মামলার তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। এর মধ্যে ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভার পলাতক চেয়ারম্যান এমএ জাহিদ খোকন রাজাকারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। আগামী মাসের যে কোনো সময়ে ট্রাইব্যুনালে তা দাখিল করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন