রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৩

নতুন করে জামায়াতী সহিংসতার পরিকল্পনা

মোকাবেলার কার্যকর প্রস্তুতি নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ॥ গোয়েন্দা রিপোর্ট
জনকণ্ঠ, শংকর কুমার দে ॥ পুলিশ সদস্যদের হতাহত, আক্রমণ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংস সশস্ত্র হামলা চালিয়ে শক্তি ও সাহস পেয়ে গেছে জামায়াত-শিবির। আবারও নানা অজুহাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে তারা। জামায়াত-শিবিরের এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- কিভাবে মোকাবেলা করা হবে তার কোন কার্যকর পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এই ধরনের আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া প্রতিবেদনে এই ধরনের তথ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জামায়াত-শিবিরের রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালানোর ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু সময়মতো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় দেশব্যাপী নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে জামায়াত-শিবির। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে আরও ভয়াবহ নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালাতে পারে তারা। তাদের সহায়তায় বিদেশী শক্তির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার ইঙ্গিত বহন করছে। দেশের বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি, পুলিশ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হচ্ছে তাদের হামলার টার্গেট। জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা মোকাবেলায় জেলা ও থানাওয়ারী এলাকাভিত্তিক কার্যকর পরিকল্পনা নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

যুদ্ধাপরাধী জামায়েতের আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ওরফে দেইল্লা রাজাকারের ফাঁসির রায় হওয়ার পর জামায়াত-শিবির যে দেশব্যাপী সশস্ত্র সহিংস সন্ত্রাস চালাতে পারে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সময়োপযোগী প্রস্তুতি না থাকায় তাদের দেশব্যাপী সহিংস সন্ত্রাস চলেছে টানা কয়েকদিন। তাদের হাতে ৬ পুলিশ সদস্য নিহত ও অর্ধশতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে। তারা থানা ঘেরাও, ফাঁড়ি ও আগ্নেয়াস্ত্র লুট করেছে। এমনকি তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও এলিট ফোর্স র‌্যাবের ওপর আক্রমণ করার সাহস দেখিয়েছে। রক্ষক্ষয়ী সহিংসতা রাজধানী ছাপিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেয়া এবং ভয়াবহ আকার ধারণ করিয়ে সাহস পেয়ে গেছে জামায়াত-শিবির।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন