বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
গণজাগরণ চত্বর থেকে:
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন নিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার
বক্তব্যকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী সর্বস্তরের মানুষের জন্য অত্যন্ত
অপমানজনক উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের
মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
শনিবার রাত পৌন ৮টার দিকে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের মিডিয়া সেলের সামনে এক বিবৃতিতে তিনি বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি এ আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের জনসভায় খালেদা জিয়া গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের ‘নাস্তিক’ বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি গণজাগরণ মঞ্চকে বিদ্রুপ করে ‘ফঞ্চ’ এবং নিজে মঞ্চ নির্মাণের ডাক দেন।
বিরোধী দলীয় নেতার ওই বক্তব্যের জবাবেই গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক এ বিবৃতি দেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র।
ডা. ইমরান বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় ও তা কার্যকরের নিশ্চয়তা এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে যে অহিংস আন্দোলনের সূচনা করেছে গণজাগরণ মঞ্চ, তা আজ দেশ-বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এ আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী-শিক্ষাবিদ-গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব-লেখক-কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীসহ সর্বস্তরের মানুষ। ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে বাঙলার প্রতিটি মানুষের প্রাণের দাবির মঞ্চ হয়ে উঠেছে গণজাগরণ মঞ্চ। নৈতিকতার ভিত্তিতে একাত্তরের চেতনাকে বুকে লালন করে হাজার হাজার বাঙালি সংস্কৃতি-ঐতিহ্য প্রসূত একটি উন্নত মনন ও শুভবোধ প্রথম থেকেই এ আন্দোলনের মূল প্রেরণা। গণজাগরণ মঞ্চের এ অহিংস আন্দোলনের যে অহিংস সাংস্কৃতিক পরিবেশ তা সর্বমহলেই প্রশংশিত হয়েছে।”
বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যে গণমানুষের মননবোধকে অপমান করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “ঘরে বাইরে নারীরা যখন নানা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, তখন দীর্ঘ ৪০ দিনের এই লাগাতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোনো নারী নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করেননি। যে তরুণরা এই পরিবেশ সৃষ্টি করলো বিরোধী দলীয় নেতা তার বক্তব্যে এই তরুণদের ‘নষ্ট’ বলেছেন।”
তার কাছেই প্রশ্ন রেখে ইমরান বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন যদি ‘নষ্ট’ হয়, তবে ‘ভালো’ কাকে বলে। তিনি কি ‘ভালো’ বলতে জামায়াত-শিবিরের সেই সব সন্ত্রাসীদের বুঝিয়েছেন। যারা একাত্তরের মতো বর্তমানেও রগ কেটে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। মসজিদ, মন্দির ও বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ করছে। তিনি কি ‘ভালো’ বলতে তাদের বুঝিয়েছেন। যারা সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থ পাচার করে?”
সর্বস্তরের জনসাধারণের গণআন্দোলনকে তিনি ‘নাস্তিকদের আন্দোলন’ বলেছেন- তার এ বক্তব্যের জবাবে ইমরান বলেন, “কোনো প্রমাণ ছাড়া দায়িত্বজ্ঞানহীন এ বক্তব্য স্পস্ট মিথ্যাচার।”
তিনি বলেন, “গণজাগরণ মঞ্চের চলমান আন্দোলন সংহতি জানিয়েছেন শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের প্রধান মসজিদের ইমামেরা। দেশের আলেম-ওলামা-পীর-মাশায়েখসহ খ্যাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদরা প্রথম থেকেই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা হয়েছে। ফলে আন্দোলনে একাত্ম আপামর ধর্মপ্রাণ মানুষদের ‘নাস্তিক’ বলে বিরোধী দলীয় নেতা শুধু এ আন্দোলনের চেতনা পরিপন্থি বক্তব্যই দেননি, একই সঙ্গে তিনি মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত করেছেন। অপমান করেছেন ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধে।”
ইমরান বলেন, “বিরোধী দলীয় নেত্রী একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হওয়ায় প্রথম থেকেই গণজাগরণ মঞ্চ তাকে যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করে আসছে।”
কিন্তু আন্দোলন নিয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রীর মন্তব্যে গণজাগরণ মঞ্চ আশাহত হয়েছে উল্লেখ করে ডা. ইমরান খালেদা জিয়ার মিথ্যাচারে পূর্ণ ও শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
ইসলাম ও মহানবী (স.)-কে অবমাননা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, “অবমাননা নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্যও নেই।”
শনিবার রাত পৌন ৮টার দিকে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের মিডিয়া সেলের সামনে এক বিবৃতিতে তিনি বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি এ আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের জনসভায় খালেদা জিয়া গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের ‘নাস্তিক’ বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি গণজাগরণ মঞ্চকে বিদ্রুপ করে ‘ফঞ্চ’ এবং নিজে মঞ্চ নির্মাণের ডাক দেন।
বিরোধী দলীয় নেতার ওই বক্তব্যের জবাবেই গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক এ বিবৃতি দেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র।
ডা. ইমরান বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় ও তা কার্যকরের নিশ্চয়তা এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে যে অহিংস আন্দোলনের সূচনা করেছে গণজাগরণ মঞ্চ, তা আজ দেশ-বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এ আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী-শিক্ষাবিদ-গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব-লেখক-কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীসহ সর্বস্তরের মানুষ। ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে বাঙলার প্রতিটি মানুষের প্রাণের দাবির মঞ্চ হয়ে উঠেছে গণজাগরণ মঞ্চ। নৈতিকতার ভিত্তিতে একাত্তরের চেতনাকে বুকে লালন করে হাজার হাজার বাঙালি সংস্কৃতি-ঐতিহ্য প্রসূত একটি উন্নত মনন ও শুভবোধ প্রথম থেকেই এ আন্দোলনের মূল প্রেরণা। গণজাগরণ মঞ্চের এ অহিংস আন্দোলনের যে অহিংস সাংস্কৃতিক পরিবেশ তা সর্বমহলেই প্রশংশিত হয়েছে।”
বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যে গণমানুষের মননবোধকে অপমান করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “ঘরে বাইরে নারীরা যখন নানা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, তখন দীর্ঘ ৪০ দিনের এই লাগাতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোনো নারী নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করেননি। যে তরুণরা এই পরিবেশ সৃষ্টি করলো বিরোধী দলীয় নেতা তার বক্তব্যে এই তরুণদের ‘নষ্ট’ বলেছেন।”
তার কাছেই প্রশ্ন রেখে ইমরান বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন যদি ‘নষ্ট’ হয়, তবে ‘ভালো’ কাকে বলে। তিনি কি ‘ভালো’ বলতে জামায়াত-শিবিরের সেই সব সন্ত্রাসীদের বুঝিয়েছেন। যারা একাত্তরের মতো বর্তমানেও রগ কেটে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। মসজিদ, মন্দির ও বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ করছে। তিনি কি ‘ভালো’ বলতে তাদের বুঝিয়েছেন। যারা সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থ পাচার করে?”
সর্বস্তরের জনসাধারণের গণআন্দোলনকে তিনি ‘নাস্তিকদের আন্দোলন’ বলেছেন- তার এ বক্তব্যের জবাবে ইমরান বলেন, “কোনো প্রমাণ ছাড়া দায়িত্বজ্ঞানহীন এ বক্তব্য স্পস্ট মিথ্যাচার।”
তিনি বলেন, “গণজাগরণ মঞ্চের চলমান আন্দোলন সংহতি জানিয়েছেন শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের প্রধান মসজিদের ইমামেরা। দেশের আলেম-ওলামা-পীর-মাশায়েখসহ খ্যাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদরা প্রথম থেকেই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা হয়েছে। ফলে আন্দোলনে একাত্ম আপামর ধর্মপ্রাণ মানুষদের ‘নাস্তিক’ বলে বিরোধী দলীয় নেতা শুধু এ আন্দোলনের চেতনা পরিপন্থি বক্তব্যই দেননি, একই সঙ্গে তিনি মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত করেছেন। অপমান করেছেন ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধে।”
ইমরান বলেন, “বিরোধী দলীয় নেত্রী একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হওয়ায় প্রথম থেকেই গণজাগরণ মঞ্চ তাকে যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করে আসছে।”
কিন্তু আন্দোলন নিয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রীর মন্তব্যে গণজাগরণ মঞ্চ আশাহত হয়েছে উল্লেখ করে ডা. ইমরান খালেদা জিয়ার মিথ্যাচারে পূর্ণ ও শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
ইসলাম ও মহানবী (স.)-কে অবমাননা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, “অবমাননা নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্যও নেই।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন