কালরেকণ্ঠ, নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করতে ব্যর্থ হলে শরিয়া আদালত গঠন করে তাদের বিচার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইমাম ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদ। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতারা এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান হযরত মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম জামায়াতের উল্টো পিঠ। তারা জামায়াতের 'বি' টিম হিসেবে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে মাঠে নেমেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করতে ব্যর্থ হলে শরিয়া আদালত গঠন করে তাদের বিচার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইমাম ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদ। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতারা এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান হযরত মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম জামায়াতের উল্টো পিঠ। তারা জামায়াতের 'বি' টিম হিসেবে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে মাঠে নেমেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করতে হঠাৎ করে হেফাজতে ইসলাম নামের একটি ভূঁইফোড় সংগঠন ইসলামের নামে দেশে নতুন প্রজন্মের সন্তানদের মুরতাদ নাস্তিক বলছে। তারা আসলে ইসলাম নয়, জামায়াতকে হেফাজত করার কাজে লিপ্ত। হেফাজতে ইসলামের আমির হযরত মাওলানা শাহ আহমদ শফি (দা.রা.) হলেও তিনি যাদের কথায় চলেন, তারা সবাই জামায়াতে ইসলামের লোক।'
বুখারি ও মুসলিম শরীফের হাদিস উল্লেখ করে ইমাম ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা এস এইচ এম আরিফ বিল্লাল বলেন, 'এক মুসলিম অন্য মুসলিমকে মুরতাদ বা নাস্তিক বলতে পারেন না। যারা ইসলাম ও কোরআন হেফাজতের নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তাদের মনে রাখা উচিত যে পবিত্র কুরআনের হেফাজতকারী আল্লাহ নিজে।'
হেফাজতে ইসলামের চট্টগ্রামের সভাপতি আবদুর রহমান, সাবেক শিবির নেতা ও সাকা মুক্তি পরিষদের নেতা মিজানুর রহমান, হারুন ইজাহার (জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক মুফতি ইজাহারের ছেলে) ও মাহমুদুল হাসান নিজামীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ ছাড়া মক্কা শরীফের গিলাফ পরিবর্তনের ছবি সাঈদীর মুক্তি কামনার মোনাজাত হিসেবে উল্লেখ করে যেসব পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ ছাপা হয়েছে, সেসব পত্রিকার প্রতি ধিক্কার জানানো হয়। ধর্মের নামে অপকর্ম সৃষ্টিকারীদের সম্মিলিতভাবে মোকাবিলার আহ্বানও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ওমর ফারুক, সহসভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফা চৌধুরী, খাজা আসাদুজ্জামান পীর সাহেব, মাওলানা মুফতি মো. আরিফ বিল্লাহ, মাওলানা মুফতি মো. আবদুল হালিম, পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা মো. আজমল খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শাহীনসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন